কনকনে ঠান্ডা, প্রচন্ড শীত

          জাগেনি পাখিরা এখনও।

ঠমঠমে ভাব, সামনে তেখা যায়না কুয়াশার জন্য,

হঠাৎ! কে যেন আসে মৃদু পায়ে;

গায়ে চাঁদর, মাথায় টুপি।

সামনে যেন পা চলে না,

                   তবুও পা’কে ঠেলে নিয়ে আসে।

ধীরে ধীরে এসে নামে পুকুরের ঘাঁটে।


মৃদু করে ছুঁই পুকুরের পানি,

                   একটু একটু করে সেড়ে নেয় ওযু।

তা দেখে মনে প্রশ্ন আঁকে, একি মানুষ.!!


কনকনে ঠান্ডা পানি, কে এমন গায়ে মাখে.?

শরীর যেন উঠে না, ঘাটে বসে কিছুক্ষণ।

হঠাৎ; কি যেন হয়.!

দ্রুত মানুষের মতো

উঠে পরে ঘাট হতে,

প্রবেশ করে মসজিদে।

এত ক্ষীণ দেহ পেরে উঠেনা-

মসজিদের দরজার সাথে।

তারপও কিসের শক্তি যেন খুলে ফেলে

          মসজিদের বিশাল দরজা।।


আস্তে আস্তে পৌঁছে যায় মসজিদের মিনারের দ্বারপান্ত্রে।

খুব ধীরে ফুঁক দেই মিনারে অবস্থিত ও বার্তা প্রেরকে।।


ঠিক তখনি জাগ্রত হয় পুরো পৃথিবী,

আল্লাহু আকবর ধ্বনি ভেসে আসে মসজিদের মিনার হতে।

আলোকিত জয় পুরো পৃথিবী, জাগ্রত হয়-

গাছ, পাখি, ফুল, পাতা, মনুষ্য সবই।।


শেষ হয় আযান;

          দলে দলে লোক সমাগত হয় মসজিদে।

কিন্তু একটি স্থানে এখনও অবস্থিত আছে,

আমাদের সেই মুয়াজ্জিন চাচা।।