আচ্ছা.! ধরণীর বুকে যদি কাল রক্তিম গোলাপ ফুঁটে,

তবে কি তুমি কাঁদবে.?

নাকি বাকি ফুলদের মতো তাকে আদর করবে.?

আমি কিন্তু কাঁদবো.!

গোলাপ আবারো ফুটেছে,

তবে সেই গোলাপের পবিত্রতা আবারো কলঙ্কিত হতে যাচ্ছে।।

তাই কাঁদবো।।


একটি শিশুর গোলাপের জীবন;

 হাজারো মানুষের হাসি,

তবে কেন একটি ‘পথশিশুর‘ কান্না-

তোমার অন্তরকে কেন ক্ষত-বিক্ষত করে না.?


তুমি কি মানুষ নও.?

নাকি মানুষ নামের পশু.?

শিশুটি চেয়ে আছে তোমার দিকে,

তার ক্রন্দন দৃষ্টিতে; সে চাইছে-

একটু খাবার দাওৃ

দাওনা একটু খাবার.!!


কাগজের মতো লাথি মেরে,

তারে ফেলে দিলে দূরে।

মরুক.! মরুক.! তোমার আশা।


তুমি কেন চাইবে রক্তিম গোলাপের নতুন সকাল.

তোমার অধিকার নেই।।


আগে হাজারো শিশুর সকালের সূর্য হও,

তাহলেই তোমার জন্যই রক্তিম গোলাপ।।


পথশিশু অবহেলিত নয়,

মোরা করি তাদের অবহেলিত।।


আসো ভালবাসি. কাছে টানি. পাশে বসি; আর দুই ঠোঁটের হাসিতে বলি-

কিরে; কিছু খাবি.?

 নাকি আমি খাইয়ে দিবো.?

তাহলেই তোমার জন্যই রইলো অফুরন্ত শুভকামনা।।